পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে ছবি তুলতে এসে দশম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। শনিবার বিকেলে ধর্ষক মাসুমকে (৩০) উপজেলার দক্ষিণ ইন্দুরকানী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন, ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার বিকালে পার্শবর্তী মোড়েলগঞ্জ উপজেলার চরহোগলাবুনিয়া মমিন উদ্দিন স্মৃতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এক ছাত্রী তার স্কুলের জন্য ছবি তুলতে ইন্দুরকানী উপজেলার ঘোষেরহাট বাজারে আসেন। তখন ওই স্কুলছাত্রী একই এলাকার প্রেমিক মোয়াজ্জেম খানের ছেলে তরিকুল ইসলামের সাথে দেখা করেন।
এ সময় তরিকুলের খালাতো দুলাভাই দক্ষিণ ইন্দুরকানী গ্রামের আব্দুর রহমান হাওলাদারের ছেলে দুই সন্তানের জনক মাসুম হাওলাদার তাদেরকে দেখে তার বাড়ীতে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলে তরিকুলকে আগে পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু স্কুুল ছাত্রীকে মাসুম নিজের বাড়ীতে না নিয়ে দক্ষিণ ইন্দুরকানীর জব্বার মৃধার ছেলে এনামুল মৃধার বাড়ীতে নিয়ে আটকে রেখে ধর্ষণ করেন।
পরে স্কুলছাত্রী দুই দিন পর কৌশলে অন্য একজনের ফোন দিয়ে কল করে তার প্রেমিক তরিকুলকে বিষয়টি জানালে তরিকুল স্কুল ছাত্রীর স্বজনদের জানান। পরে স্কুল ছাত্রীর মামা রফিকুল ইসলাম ইন্দুরকানী থানা পুলিশের সহযোগীতায় শুক্রবার রাতে এনামুলের বাড়ী থেকে তাকে উদ্ধার করে।
স্কুল ছাত্রীর নানী জানান, আমার নাতনী এতিম। ছোট বেলায় মা মারা গেছে। বাবা অন্যত্র বিয়ে করে চিটাগাং থাকেন। আমার নাতনী ছবি তুলতে এসে বাড়ীতে না গেলে অনেক খোঁজাখুজির দুই দিন পরে তরিকুলের মাধ্যমে জানতে পারি তাকে আটকে রাখা হয়েছে। তখন পুলিশের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করি।
ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির জানান, ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্ত ধর্ষক মাসুমকে আটক করা হয়েছে।